পিছিয়ে পড়া মহিলাদের আশার আলো দেখাচ্ছে ঊষা
স্কিল বেঙ্গল ডেস্কঃ বেশ কিছু বহুজাতিক সংস্থাকে সাথে নিয়ে সমাজের পিছিয়ে পড়া মহিলাদের নতুন দিশা দেখাচ্ছে ঊষা কোম্পানি। দেশের বিভিন্ন প্রত্যন্ত গ্রামের মহিলাদের আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করাই এই কর্মসূচীর মূল লক্ষ্য।
বাংলা সহ মোট ৯ টি ভাষাতে সেলাই সংক্রান্ত বিভিন্ন কোর্স শিখতে পারবেন এই প্রতিষ্ঠান থেকে। অনেকের ই কাছে ঊষা সেলাই স্কুল হিন্দি ভাষাভাষী দের জন্য পরিচিত আছে । চাহিদা ও যোগানের ভারসাম্যের পাশাপাশি দেশের প্রতিটি কোণেও যাতে মহিলারা নিজেদের স্বনির্ভর করে তুলতে পারে তার জন্য প্রতিস্থানের পক্ষ থেকে চেষ্টা করা হয়েছে বিভিন্ন ভাষায় এই স্কুল তৈরি করার। তারই ফলশ্রুতি ঊষার বাংলা ভাষার স্কুল।
চলুন দেখে নেওয়া যাক এমন ই একটি ভিডিও যেখান থেকে আপনি বাংলাতে সেলাই মেশিনের প্রাথমিক পাঠ নিতে পারবেন-
২০১১ সালে ঊষার এই অভিনব উদ্যোগ শুরু হয়েছিল । এই মহৎ উদ্দ্যেশে সঙ্গ দিয়েছে দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। তার মধ্যে উল্লেখ্য- নর্থ ইস্টার্ন ইলেকট্রিক পাওয়ার করপোরেসান ও ডালমিয়া ভারত ফাউণ্ডেশান। মহারাষ্ট্র, পাঞ্জাবেও ঊষা কোম্পানি এই ধরনের সেলাই স্কুল চালু করেছে। ধানবাদের আদিবাসি মহিলাদের উন্নয়নের লক্ষ্যে এগিয়ে এসেছে সেন্ট্রাল মাইন প্ল্যানিং অ্যান্ড ডিজাইন ইন্সটিটিউট ও ন্যসানাল বিল্ডিং কন্সট্রাকশান করপোরেসান। সেলাই এর নানা আধুনিক কৌশলে দক্ষ হয়ে আর্থিক ভাবে সক্ষম হয়ে উঠেছেন অসংখ্য মহিলা।
না শুধুমাত্র ভারত নয়, মহিলাদের স্বাবলম্বী করার এই প্রচেষ্টা দেশ কাল সীমানার গণ্ডী পেরিয়ে পৌঁছে গেছে ভুটান , নেপাল, শ্রীলঙ্কার মত দেশেও।
গৃহবধূ হয়েছে রোজগেরে গিন্নি তে। স্বল্প শিক্ষিত বা নিরক্ষর ও পেয়েছে রোজগারের দিশা। শুধু তাই নয়, পাচার এবং ধর্ষণের শিকার হওয়া মেয়েদেরও নতুন ভাবে বাঁচার আশা দেখিয়েছে ঊষার এই সেলাই স্কুল।