ব্রেকিং নিউজ

img/news-single-img/post-img-01.jpg

সারা বিশ্বে পরিবেশ দূষন ক্রমশ বাড়ছে। তার সাথে পাল্লা দিয়ে ব্যস্তানুপাতিক হারে কমছে মানুষের রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা। রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা কমে যাওয়ার অনেকগুলো কারণ আছে- তার মধ্যে অন্যতম বিশুদ্ধ খাবার না খাওয়া। ফসল কে চকচকে করতে গিয়ে বিভিন্ন কীটনাশকের ব্যবহার, ফসলের উৎপাদনের পরিমাণ বাড়াতে গিয়ে রাসায়নিক বিপজ্জনক মাত্রায় ব্যবহার করা হচ্ছে। স্বাভাবিক ভাবেই খাদ্যের গুণগত মান কমছে। দিন দিন বাড়ছে বিভিন্ন রোগের প্রকোপ। বিভিন্ন রোগ থেকে নিস্তার এর পাশাপাশি শরীরের কর্মক্ষমতা বাড়ানোর জন্য তাই বিশুদ্ধ খাবার খাওয়া জরুরি হয়ে পড়েছে।

 

বর্তমানে রাসায়নিকের অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে  জমিও তার উর্বরতা হারিয়ে ফেলছে। আনাগোনা বাড়ছে কীট, পোকামাকড়ের। ফলত, আরও বেশি করে নির্ভরতা বাড়ছে রাসায়নিকের উপর। চক্রাকারে রাসায়নিকের এই ব্যবহার বন্ধ করতেই জৈব চাষ এর উদ্ভব।

 

চাহিদার সঙ্গে যোগানের ভারসাম্য বজায় রাখতে রাসায়নিক সার ব্যবহার করে ষাটের দশকে সবুজ বিপ্লব ঘটিয়ে ফলন বাড়ানো হয়।   রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার করে চাষের ফলে পেটের ক্ষুধা মিটছে ঠিকই কিন্তু পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মানুষের অসুস্থতা ।  তাই নয়ের দশক থেকেই জৈব পদ্ধতিতে উৎপন্ন দ্রব্যের বাজার দ্রুত বৃদ্ধি পেতে থাকে।  চাহিদা বেড়ে যাওয়ায়  চাষকৃত এলাকাও বাড়তে থাকে। এখন তো শপিং মল গুলোতে জৈব ফসলের চাহিদা বেশ রয়েছে।

জৈব চাষ শুধু করব ভাবলেই হবে না, তাকে সঠিক মাত্রায় নিয়ন্ত্রন ও করতে হবে। এই চাষ সম্পর্কে যথাযথ জ্ঞান অর্জন করে ঠিক ঠিক উপায় অবলম্বন করলে যথেষ্ট লাভের সম্ভাবনা রয়েছে জৈব চাষ থেকে।

প্রথমত,  ভালো মানের বীজ নির্বাচন করতেই হবে।ভালো মানের বীজ না হলে ভালো মানের ফসল ও হয় না।

দ্বিতীয়ত, নিতে হবে নিয়মিত যত্ন।  প্রাকৃতিক উপাদান যা যা আছে সেগুলির নিয়মিত যোগান রাখতে হবে।

তৃতীয়ত, প্রয়োজনে নেট হাউস তৈরি করে তার ভেতরে শাকসবজি চাষ করলে কীটনাশক ছাড়াই অনেক পোকামাকড় নিয়ন্ত্রণ করতে পারা যায়।

চতুর্থত, পর্যাপ্ত পরিমাণে জৈব সার, সবুজ সার, খামারজাত সার ইত্যাদি ব্যবহার করতে হবে। 

পঞ্চমত, আগাছা দমনে কোন আগাছানাশক ব্যবহার না করে নিড়ানি ও হাত দিয়ে আগাছা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। 

ষষ্ঠত, সেচ ব্যবস্থাপনা ঠিকঠাক রাখতে হবে।  প্লাবন সেচ না দিয়ে ঝারি বা কলসি ভরে গাছের গোড়ায় জল দিতে হবে।

সপ্তমত, উপযুক্ত সময়ে সবজি তুলতে হবে।

অষ্টমত,  শাকসবজি তোলার পর তা ধোয়া বা পরিষ্কার করার জন্য জীবাণুমুক্ত জল ব্যবহার করা দরকার। যদি নষ্ট ফসল দেখতে পাওয়া যায় তাহলে ধোয়া বা পরিষ্কার করার সময় ই তা আলাদা করে দিতে হবে।

 

উল্লিখিত উপায় অবলম্বন এর পাশাপাশি আর পাঁচজন কেও জৈব চাষ এর গুরুত্ব বোঝাতে হবে, যাতে করে আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম সবুজ টাটকা রাসায়নিক মুক্ত ফসল খেতে পায়।  জৈব চাষের খরচ তুলনামুলক কম । আর লাভ ও অনেক বেশি। এখন তো দিন দিন জৈব ফসলের সব্জির চাহিদা বাড়ছে। তাই আগামী তে ভালো থাকার লক্ষ্যে আমাদের সবাইকে জৈব চাষের দিকেই ঝুঁকতে হবে।

You Might Also Like

Our Newsletter

স্কিল নিউজ