ব্রেকিং নিউজ

img/news-single-img/post-img-01.jpg

কোভিড ১৯ এই পৃথিবীকে বদলে দিয়ে গিয়েছে অনেকখানি। বাড়ি থেকে বেরোনো কমিয়েছে মানুষ৷ অথচ রোজগার করতেই হবে। জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে ক্রমশ তাই রোজগারও বাড়াতে হবে। অথচ, কাজের সুযোগ অনেক কমেছে। এই লকডাউনে কাজও হারিয়েছেন অনেক মানুষ। আগামীদিনে নতুন চাকরির সুযোগ তৈরি হওয়াও কঠিন। তাই এই প্রজন্মকে খুঁজতে হচ্ছে নতুন নতুন উপায়। লকডাউন বা কোভিডের আগে থেকেই বাড়িতে থেকে নানারকম কাজ করার ঝোঁক বাড়ছিল। বিশেষ করে মহিলাদের ক্ষেত্রে এই প্রবণতা বেশি লক্ষ করা যায়। তারা ঘরের কাজ সামলেও এই ধরণের কাজ করে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হয়ে উঠতে চাইছেন। কিন্তু এখন নারী পুরুষ নির্বিশেষেই ওয়ার্ক ফ্রম হোম শব্দটি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। সাথে এখন যুক্ত হচ্ছে বিজনেস ফ্রম হোমও।

এই প্রতিবেদনে আমরা এমন ১০টি ব্যবসার খোঁজ করব, অল্প পুঁজি সম্বল করেই যে ব্যবসা আমরা ঘর থেকে চালিয়ে নিয়ে যেতে পারি। আর এইসব ব্যবসাতে লাভের হারও মোটেই কম নয়।

ঘরে বসেই অর্থ উপার্জনের এইসব সুযোগ আক্ষরিক অর্থেই আকর্ষণীয়

 

  • ব্লগিং - এই শব্দটার সাথে বাঙালী ধীরে হলেও পরিচিত হচ্ছে। স্মার্টফোন অথবা কম্পিউটার থেকে ইন্টারনেটের সাহায্যে আপনি এই ব্যবসায় যুক্ত হতে পারেন। কেবল আপনাকে ভালো লিখতে জানতে হবে। কোনো বিষয়ে যথাযথ পড়াশোনা করে সেই বিষয়ে নিজের মত বিস্তারিত ভাবে লিখে নির্দিষ্ট কয়েকটি অ্যাপ ক্লাউড বা সাইটে আপলোড করতে হয়। একবার আপনার লেখা অনেকে পড়তে শুরু করলে আপনি সেখান থেকে ভালো পরিমাণ অর্থ উপার্জন করতে পারেন।

 

  • ইউটিউব কনটেন্ট ক্রিয়েটর - জেন ওয়াইয়ের কাছে এটিই সম্ভবত সবভেয়ে এক্সাইটিং মাধ্যম হতে চলেছে। হাজারো ইউটিউব চ্যানেলের বহর দেখেই তা আন্দাজ করা যায়। আপনি আপনার মনপসন্দ যে কোনো বিষয়ের উপর যে কোনোভাবে ভিডিও তৈরি করুন। হতে পারে কমেডি, হতে পারে ফিচার ফিল্ম, হতে পারে কোনো টিউটোরিয়াল বা নানারকমের ভ্লগ। মানুষ পছন্দ করতে শুরু করলে আপনি একইসাথে জনপ্রিয়তা ও টাকা উপার্জনে সক্ষম হবেন।

 

  • হোম বেসড ক্লোথ বিজনেস - ধীরে ধীরে মানুষের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে এই ব্যবসাটিও। দুরকমভাবে এই ব্যবসা করতে পারেন। এক চিরাচরিত উপায়ে পাইকারি বাজার থেকে পোশাক কিনে এনে নেটওয়ার্কিং এর মাধ্যমে গড়ে তোলা কাস্টোমারদের মধ্যে বিক্রি করা অথবা কোনো ব্র‍্যান্ডের জিনিস আপনি মিডিয়েটর হিসেবে বিজ্ঞাপন করে বিক্রি করবেন এবং তার জন্য আপনি অর্থ পাবেন সেই কোম্পানির তরফ থেকে। দুটি পদ্ধতিই এখন বিশেষত মহিলাদের মধ্যে অতি প্রিয়৷

 

  • ডাটা এন্ট্রি - দীর্ঘদিন ধরেই এই কাজে নানা সংস্থা বহু লোক নিয়ে থাকে। মাইক্রোসফট ওয়ার্ড সহ দু-একটি সফটওয়্যারের কাজ প্রাথমিকভাবে জানা থাকলেই আপনি এই কাজে যুক্ত হতে পারেন। দিনের অনেকখানি সময় যদি আপনি এতে দিতে পারেন তাহলে উপার্জনের পরিমাণটা একেবারে কম হবে না।

 

  • জুয়েলারির ব্যবসা - ফেসবুকে হাজার হাজার সদস্য নিয়ে অনেকগুলি গ্রুপ খুলে গিয়েছে যেখানে লাইভের মাধ্যমে জুয়েলারি বিকিকিনি চলে। বাজার থেকে সরাসরি কিনে এনে সেগুলি বিক্রি করে অথবা নিজেদের হাতে তৈরি করা কাস্টোমাইজড জুয়েলারি বিক্রি করে আপনি ঘরে বসেই উপার্জন করতে পারেন।

 

  • টিউশনি - ঘরে বসে  বিভিন্ন অ্যাপ বা ওয়েবসাইটএর  সাথে যুক্ত হয়ে আপনি আপনার টিউটোরিয়াল কনটেন্ট শেয়ার করে আর্থিকভাবে লাভবান হতে পারেন।

 

  • সার্ভে - বিভিন্ন কোম্পানি তাদের প্রোডাক্ট সম্পর্কে মার্কেটে সার্ভে চালায়। তারা বোঝার চেষ্টা করে কি সমস্যা হচ্ছে, কিরকম ফিডব্যাক বা কোথায় উন্নতির সুযোগ আছে। এখন বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সেগুলি হয় ডিজিটালি। এই ডিজিটাল সার্ভেগুলিতে অংশ নিয়ে ধৈর্য্য ধরে কিছু প্রশ্নের উত্তর দিলে বা আরও বেশি মানুষের কাছে সেই সার্ভে পৌঁছে দিয়ে উত্তর নিয়ে আসতে পারলে বেশ কিছু টাকা রোজগার করার সুযোগ রয়েছে।

 

  • ক্রাফট মেকিং - বিভিন্ন ধরণের ক্রিয়েটিভ আর্টওয়ার্ক আপনি এখন বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে ইন্ডিপেন্ডেন্টলি বিক্রি করে বা কোনো হাউসের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়ে তাদের জন্য তৈরি করে রোজগার করতে পারেন।

 

  • সেলাই - দীর্ঘদিন ধরেই বাড়িতে বসে উপার্জনের একটি উপায় হল সেলাইয়ের কাজ৷ তবে এখন এর এক্সপোজার ও ভ্যারাইটি দুইই অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে৷ তাই অর্ডারের ভিত্তিতে এই কাজ করুন আর ঘরে বসেই আউ করুন।

 

  • রিসেলিং - আসলে ভেন্ডার থেকে বা ম্যান টু ম্যান কনট্যাক্ট করে নতুন বা ব্যবহৃত জিনিসের বেচাকেনাকেই রিসেলিং বলে। এতে আপনি প্রতিটি কেনা-বেচায় লাভ রাখতে পারেন। এভাবে যত বেশি কেনাবেচা আপনি করাতে পারবেন তত ঘরে বসে ফোনে বা ইন্টারনেটের মাধ্যমেই আপনার আয়ের পরিমাণ বাড়বে।

 

এছাড়াও রয়েছে আরও হাজার একটি উপায়৷ শুধু প্রয়োজন আপনার ইচ্ছেশক্তি আর ডেডিকেশনের। অর্থ পুঁজি অত্যন্ত কম থাকলেও বিচার বিবেচনা করবার বোধ ও বাজার সম্পর্কে সম্যক ধারণা থাকলে ঘরে বসেই এত উপায়ের মধ্যে কোনো একটি উপায়ে আপনি উপার্জন করতেই পারেন। শুধু মনে রাখতে হবে, যাইহোক না কেন ক্যোয়ালিটি যেন না নেমে যায় আর আপনার কাস্টোমার যাতে আপনাকে নিয়ে কোনো অভিযোগ না করতে পারে৷ তাহলেই ঘরে বসেই আপনি স্থায়ী চাকরির থেকেও কোনো কোনো ক্ষেত্রে বেশি আয় করতে পারবেন।

You Might Also Like

Our Newsletter

স্কিল নিউজ