ব্রেকিং নিউজ

img/news-single-img/post-img-01.jpg

স্কিল বেঙ্গল ডেস্কঃ প্রতি বছরের মত এবারও বার্ষিক রিপোর্ট প্রকাশ করল ন্যাশানাল স্কিল ডেভেলপমেন্ট করপোরেশান।  ২০১৯-২০২০র বার্ষিক রিপোর্ট  অনুসারে প্রায় আড়াই কোটি ভারতীয়র উন্নত জীবিকার সাথে সাথে জীবনযাত্রার মানও উন্নত  হয়েছে। 

সরকারি ক্ষেত্রে নির্ভরতা কমিয়ে বেসরকারি উদ্যোগ বাড়ানোর দিকে জোর দিয়েছেন এন এস ডি সি'র চেয়ারম্যান এম কে নায়েক। সংগঠিত  ও অ সংগঠিত ক্ষেত্রের কর্মীদের প্রয়োজনীয় টেকনিক্যাল দক্ষতা বাড়ালে কাজের সুযোগও বৃদ্ধি পাবে বলে জানান এন এস ডি সি'র চেয়ারম্যান এম কে নায়েক।

মিনিস্ত্রি অফ এক্সেলেন্সের উদ্যোগে সরকারি এবং বেসরকারি তৎপরতায় বেশ কিছু আন্তর্জাতিক চুক্তি হয়েছে। জাপানের সাথে ইন্টারনাল টেকনিক্যাল ট্রেনিং প্রোগ্রাম ছাড়াও GCC(Gulf corporetion council) দেশগুলোর সাথে বেশ কিছু চুক্তি হয়েছে। অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, ফিনল্যান্ড ও রাশিয়ার মত দেশগুলোর সাথে যৌথভাবে টেকনিক্যাল এবং ভোকেশনাল ট্রেনিং দেওয়া হবে বলে জানা গেছে।

বিভিন্ন বহুজাতিক সংস্থাগুলি CSR (corporate Social Responsibility) অনুযায়ী  যুব সমাজের দক্ষতা বাড়াতে নানারকম কর্মসূচী গ্রহন করেছে। প্রায় ২০০ কোটি টাকা এই প্রকল্পে খরচ করা হবে বলে রিপোর্টে প্রকাশ করা হয়েছে।

যথেষ্ট উল্লেখ এর বিষয় এই যে রাশিয়ায় অনুষ্ঠিত 'ওয়ার্ল্ড স্কিল ১৯'  প্রতিযোগিতায় মোট ৬৩ টি দেশের মধ্যে ভারত ১৩ নম্বরে রয়েছে। ওয়েব টেকনোলজি , ওয়াটার টেকনোলজি এবং গ্রাফিক ডিজাইন টেকনোলজি তে ভারত উল্লেখযোগ্য স্থান পেয়েছে।

মিনিস্ত্রি অফ স্কিল ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড এন্তারপ্রেনিউরশিপ অধীনস্থ PMKVY যোজনায় এক গুচ্ছ প্রকপ্ল নেওয়া হয়েছে, যা দেশের আর্থিক বৃদ্ধিকে আরও মজবুত করার পাশাপাশি আত্মনির্ভর ভারত গড়ে তুলতে সহায়ক হবে।

ন্যাশনাল এ্যাপ্রেনটিসশিপ প্রমোশন স্কিম নানা ধরনের এ্যাপ্রেনটিসশিপ প্রশিক্ষণ চালু করেছে। মিনিস্ত্রি অফ স্কিল ডেভেলপমেন্ট  এর মাননীয় মন্ত্রী ডঃ মহেন্দ্র নাথ পাণ্ডে  সারা দেশে ১৫ দিনের একটি ক্যাম্পেন চালু করেন। রোড শো, সেমিনার ইত্যাদি এই কর্মসূচীর বিশেষ অঙ্গ ছিল।

শিক্ষা ক্ষেত্রে সমগ্র শিক্ষা অভিযানের মাধ্যমে অনেক বেশি সংখ্যক ছেলে মেয়েকে স্কুল মুখি করার চেষ্টা চলছে। স্কুল গুলিতে ভোকেশনাল ট্রেনিং এর দিকে জোর দেওয়া হচ্ছে। নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণী ছাত্রছাত্রীরা তাদের পছন্দ মত বিভিন্ন চাকরির উপযুক্ত ট্রেনিং নিতে পারবে। সাধারন গ্র্যাজুয়েট বা স্কুল কলেজ ড্রপ আউট ছেলেমেয়েরাও বাজারের চাহিদা মত বিভিন্ন রকম প্রাক্তিকাল ট্রেনিং নিয়ে যাতে চাকরি পেতে পারে তার দিকে বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে।

বর্তমান সময়ের প্রয়োজনীয় নানা রকম ডিজিটাল ট্রেনিং এ শিক্ষক ও শিক্ষার্থী ২ তরফ ই যাতে নিজেদের তৈরি করতে পারে তার জন্য একগুচ্ছ কর্ম প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। ই স্কিল ইন্ডিয়া , ই পুস্তকালয় , কৌশল মাট এর মত অ্যাপ গুলি এ ক্ষেত্রে বিশেষ সহায়ক  হয়েছে।

 

আন্তর্জাতিক বাজারের চাহিদা মত বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সব শ্রেণীর মানুষের দক্ষতা বৃদ্ধি করে কর্মসংস্থান করাই ন্যাশানাল স্কিল ডেভেলপমেন্ট করপোরেশান এর প্রধান লক্ষ্য। গতানুগতিক চাকরির বাইরেও নতুন ধরনের ব্যবসায়িক উদ্যোগ দেশের অর্থনীতিতে একটা বড় ভুমিকা নেবে বলে এই রিপোর্ট থেকে জানা গেছে।

You Might Also Like

Our Newsletter

স্কিল নিউজ