ব্রেকিং নিউজ

img/news-single-img/post-img-01.jpg

গত বছর থেকে কোভিডের লাগাতার সংক্রমণ আমাদের সকলকেই আতঙ্কে রেখেছে।  তার মধ্যে বারবার লকডাউন আমাদের দৈনন্দিন জীবনকে-ও অনিশ্চিত করে তুলেছে। খাওয়া দাওয়া থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য- মানুষের বেঁচে থাকাটাই আজ আমার আপনার সবথেকে চ্যালেঞ্জের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য সারা বিশ্বেই প্রয়োজন অনুযায়ী লকডাউন করতে হচ্ছে। লকডাউন করার মেন কারণ যাতে করে কোভিডের লাগাতার সংক্রমণ থেকে রেহাই পাওয়া যায়। করোনা সংক্রমণ ঠেকানোর জন্য বার বার হাত ধোওয়া, মাস্ক পরা,যতটা সম্ভব ঘরের মধ্যে থাকা, পারস্পারিক দূরত্ব বজায় রাখা -এগুলি প্রায় সকলেই আমরা জানি। পাশাপাশি ৫ টি বিষয় যদি আপনি ঠিকঠাক মেনে চলতে পারেন তাহলে কোভিড আক্রান্ত হওয়ার থেকে অনেকটাই নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে পারবেন।

 

তাহলে চলুন জেনে নি কি সেই প্রধান পাঁচটি টিপস

 

১) মাস্ক পরার আগে ও পরে  হাত স্যানিটাইজ বা সাবান দিয়ে ধুয়ে নিন  

 

মাস্ক যে পরতে হবে সেকথা তো আমরা সকলেই জানি। কিন্তু মাস্ক ব্যাবহারের সঠিক নিয়ম আমরা অনেকেই জানি না। তাই যখন-ই মাস্ক পরবেন তার আগে এবং মাস্ক খোলার পরে নিজের হাত অবশ্যই সাবান দিয়ে ধোবেন অথবা স্যানিটাইজ করে নেবেন।

কারণ যদি আপনার হাতে আগে থেকে জীবাণু লেগে থাকে তাহলে আপনি যখন সেই হাত দিয়ে মাস্ক পরবেন তখন কোনও কারণে  আপনার হাতে লেগে থাকা জীবাণু মাস্কের ভেতর দিকে  লেগে যেতে পারে যা আপনি মাস্ক পরার পর আপনার শ্বাস-প্রশ্বাসের মধ্যে দিয়ে আপনার শরীরে ঢুকে আপনাকে সংক্রমিত করতে পারে। ব্যবহার করা মাস্ক খোলার পর-ও নিজের হাত ধুয়ে নিন কারণ ব্যবহৃত মাস্কে জীবাণু থাকার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি থাকে। তাই সেই মাস্ক হাত দিয়ে খোলার পর আপনার হাতে-ও সেই জীবাণু লেগে যেতে পারে এবং সংক্রমণ ছড়াতে পারে। অর্থাৎ এভাবে যেহেতু মাস্ক থেকে হাতে এবং হাত থেকে মাস্কে জীবাণু ছড়িয়ে পড়তে পারে তাই প্রতিবার মাস্ক ব্যাবহারের আগে-পরে হাত স্যানিটাইজ করে নিন বা সাবান দিয়ে ধুয়ে নিন।

 

২) শেয়ার করা বন্ধ করুন

 

আমরা সকলেই জানি sharing is caring। হ্যাঁ  এসময় care অবশ্যই করবেন, কিন্তু শেয়ার করা থেকে বিরত থাকুন। কারণ আমাদের ঘর বন্দী থাকতে বলা হয়েছে মানে, একে অপরের সংস্পর্শে আসতে বারণ করা হয়েছে।  কিন্তু এই একে অপরের সংস্পর্শে কিন্তু ব্যাবহৃত জিনিসপত্রের মধ্যে দিয়ে-ও আসা যায়। মনে করুন অন্য কারুর ব্যাবহার করা মেকআপ প্রোডাক্ট যদি আপনি ব্যবহার করেন আর তার যদি করোনা হয়ে থাকে তাহলে তার মধ্যে দিয়ে-ও আপনি-ও সংক্রমিত হতে পারেন। অথবা অন্য কারোর ফোন, চিরুনি বা টিফিন শেয়ার করলেও এই একই ভাবে করোনা ছড়াতে পারে। তাই এই সময় শুধুমাত্র নিজের জিনিসটাই ব্যবহার করুন। 

 

৩) নিজের চশমা, ঘড়ি, ফোন এগুলি-ও স্যানিটাইজ করুন  

হাত কেন বারবার স্যানিটাইজ করার প্রয়োজন তা আমরা সকলেই জানি। কিন্তু আমরা বেশিরভাগ মানুষ-ই হাতের সাথে সংযুক্ত থাকা জিনিসগুলোকে স্যানিটাইজ করি না। সেই জিনিসগুলি থেকেও কিন্তু সংক্রমণ ছড়াতে পারে। কারণ সেগুলি সবসময় আপনার হাতের সংস্পর্শে-ই থাকছে। তাই নিজের ফোন এবং ঘড়িটিকে-ও স্যানিটাইজ করুন। আর তার সঙ্গে চশমাটি-ও কিন্তু স্যানিটাইজ করতে ভুলবেন না। কারণ সেটি- পরে একদিকে যেমন আপনি বাইরে গিয়ে মানুষের সাথে মুখোমুখি দাঁড়িয়ে কথা বলছেন, আবার অন্যদিকে নিজের হাত দিয়েই সেটাকে খোলা পরা করছেন। তাই নিজের চশমাটিকে-ও অবশ্যই স্যানিটাইজ করে নিন।

 

৪) কেউ বাড়িতে এলে বাড়ির মধ্যে-ও মাস্ক ব্যাবহার করুন

এই পরিস্থিতিতে অনেক মানুষ-ই প্রয়োজনীয় জিনিস হোম ডেলিভারি করিয়ে নিচ্ছেন। বাড়িতে যখন হোম ডেলিভারি দিতে বাইরে থেকে কেউ আসছেন বা ফ্ল্যাটের অন্য ঘর থেকে কেউ কথা বলতে  আসছেন তখন অনেক ক্ষেত্রেই ভুলবশত ঘরের মধ্যে থাকা ব্যাক্তিটি মাস্ক ছাড়াই তাদের সঙ্গে কথা বলছেন। এতে করে সেখান থেকে খুব সহজেই সংক্রমণ ছড়িয়ে যাচ্ছে। তাই একটা ব্যাপার খুব পরিষ্কার করে বুঝে নেওয়া দরকার যে, যখন-ই নিজের ঘরের মানুষ ছাড়া অন্য কারোর সঙ্গে কথা বলবেন, সে বাইরে দাড়িয়ে  কথা বলুন অথবা ঘরের মধ্যে দাঁড়িয়ে কথা কথা বলুন, মাস্ক কিন্তু পড়তেই হবে। পাশাপাশি বাইরে থেকে ঘরে ভেতরে কোনও জিনিস আনার আগে ভালো করে স্যানিটাইজ করে নিন। স্যানিটাইজ করার সময় অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করতে হবে।

 

৫) নাকে, চোখে এবং মুখে হাত দেবেন না

 

কোনো কোনো সময় নাক - চোখ - মুখে irritation হলে সংশ্লিষ্ট স্থানে অটোমেটিক  আমাদের হাত চলে যায়। ঠিক এই ভুলটাই আমরা অনেকেই করে থাকি।   এই বিষয়টিতে আমাদের বিশেষভাবে মনোযোগী হতে হবে। কারণ নাক-চোখ এবং মুখ থেকে ভাইরাস সরাসরি আমাদের দেহে ঢুকে পড়ে।  তাই নাক, চোখ বা মুখে হাত দেওয়ার একান্ত প্রয়োজন হলে হাত আগে সাবান দিয়ে ধুয়ে নিন বা স্যানিটাইজ  করে নিন। এতে করে আপনি অনেকটা সুরক্ষিত থাকবেন।

You Might Also Like

Our Newsletter

স্কিল নিউজ