ব্রেকিং নিউজ

img/news-single-img/post-img-01.jpg

স্কিল বেঙ্গল ডেস্কঃ যুগের পরিবর্তনের সাথে সাথে বিনোদন দুনিয়া ও বদলে যাচ্ছে। বেশ কয়েক বছর আগেই এই বদল শুরু হয়েছিল। কিন্তু করোনা মহামারীতে সেটা আরও প্রকট হয়ে ওঠে। লকডাউনের সময় থেকে মানুষ ঘর বন্দি। সিনেমা হল, সিনেপ্লেক্স - সবকিছুই বন্ধ। কিন্তু হাতের মুঠোয় থাকা স্মার্ট ফোনকে কাজে লাগিয়ে মানুষ বিনোদনের নতুন নতুন মাধ্যম খুঁজে নিচ্ছে। সেই সুযোগ কেই কাজে লাগিয়েছে ও টি টি প্লাটফর্ম।

 

ও টি টি কথাটির মানে "Over the Top"। এই প্লাটফর্মের মাধ্যমে যে কোনও জায়গায় , যে কোনও সময়ে যে কোনও ধরনের অডিও বা ভিডিও উপভোগ করা যায়। বাড়ি, অফিস, ট্রেন যে কোনও জায়গাতেই শুধুমাত্র ইন্টারনেট থাকলেই পছন্দের গান, মুভি, সিরিয়াল বা ওয়েব সিরিজ যে কেউ দেখতে পারে। আম্যাজন, নেটফ্লিক্স, ডিজনি , হটস্টার ইত্যাদির মাধ্যমে সামান্য তম টাকা দিয়ে সাবস্ক্রাইব করলেই বিনোদনের বিস্তৃত জগতে অনায়াসে বিচরণ করা  যায়।

 

 বিনোদন দুনিয়ায় ও টি টি প্লাটফর্ম ই ভবিষ্যৎ

 

ও টি টি প্লাটফর্মের পরিধি দিন দিন বাড়ছে। কম সময়ে কম খরচে একসঙ্গে অনেক মানুষের কাছে পৌঁছে যাওয়া যায়। তাই ও টি টি ক্রমশ ই বেশি সংখ্যক মানুষের পছন্দের হয়ে উঠছে। বড় বড় অভিনেতা বা প্রযোজক রাও বর্তমানে ও টি টি র মাধ্যমে ছবি রিলিজের দিকে ঝুঁকছেন। অ্যামাজন, নেট ফ্লিক্সের মাধ্যমে ছবি মুক্তি পেলে শুধু দেশের মানুষের কাছেই নয়, ছবি পৌঁছে যাচ্ছে বিদেশেও। মেট্রো শহর ছাড়াও ছোট ছোট শহর গুলিতেও ও টি টি র বাজার ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে।

 

পরিবারের সবার সাথে বা প্রিয় মানুষটির সাথে পপ কর্ণ সহযোগে সিনেমা দেখাটাই তো রেওয়াজ ছিল। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির পর থেকে  রাতারাতি ছবিটা পালটে গেল।

 

করোনা পরিস্থিতি ও টি টি প্লাটফর্মের বাজার বাড়িয়েছে

 

আসলে সংক্রমণের ভয় ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা মানুষের মনে এমন ভাবে গেঁথে গেছে যে লকদাউন পরবর্তীকালে  সিনেমা হল খুললেও সেগুলোতে তত ভীর জমছে না। হল মুখি হতে গেলে খরচ টাও বেশি। সেখানে অ্যামাজন, নেট ফ্লিক্সে একবার টাকা ভরিয়ে নিলেই অসংখ্য সিনেমা, ওয়েব সিরিজ বা পছন্দের সিরিয়াল দেখা যায়। নির্দিষ্ট দিনে নির্দিষ্ট সময় টানা ৩ ঘণ্টা বসে সিনেমা দেখার থেকে নিজের পছন্দ মত সময় পছন্দের সিনেমা দেখা টা অনেক বেশি সুবিধা জনক। সম্প্রতি, টলিউড, বলিউড এও এই হাওয়া লেগেছে। বড় বড় তারকা দের ছবিও ও টি টি প্লাটফর্মে মুক্তি পাচ্ছে। ফলে সিনেমা হল গুলো ক্রমশই ব্রাত্য হয়ে উঠছে। বলিউড এও এই নিয়ে নানা বিতর্ক তৈরি হয়েছে। রুষ্ট হচ্ছেন পরিবেশক, সিনেমা হল মাল্টিপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ। সম্প্রতি ভারতীয় গণমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস কে আইনক্সের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে - " চলচিত্র নির্মাতা এবং সিনেমা হল মালিক দের মধ্যে একটা নিজস্ব ব্যবসায়িক সম্পর্কও থাকে। যেখানে উভয় পক্ষই লাভবান হয়। দীর্ঘদিন ধরে এটাই হয়ে এসেছে। আর আজ যখন একে অপরের পাসে দাঁড়িয়ে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করার সময় তখন অপর পক্ষ সেই সম্পর্ক থেকে সরে গেলেন।"

 

ও টি টি র ফলে বেশি ক্ষতি গ্রস্থ হচ্ছেন মাল্টিপ্লেক্স বা সিংগল স্ক্রিনের মালিকরা। শুধুই কি কর্ম কর্তারা? হলে টিকিট দেখতেন যে মানুষটি বা যে ছেলেটি অন্ধকার হলে টর্চ দেখিয়ে নির্দিষ্ট সিটে বসিয়ে দিতেন তারা সবাই আজ বেকার। শহর তলির বেশ কিছু সিংগল স্ক্রিনের ঝাঁপ চিরতরে বন্ধ হয়ে গেছে। সলমন খানের মত কিছু তারকা হলে সিনেমা রিলিজের দিকেই জোর দিচ্ছেন।  তবে তা শুধুই মানবিকতার খাতিরে। শুধু মানবিকতা দিয়ে সিনেমা হলের সাথে গড়ে ওঠা কিছু জিবি কা কে আর কতদিন বাঁচিয়ে রাখা যাবে সেটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন। লাভের দিক থেকে ও টি টি এগিয়ে - তা সিনে প্রেমি মানুষ হোক বা প্রযোজক  সবার ক্ষেত্রেই সত্য। তাই বিনোদন দুনিয়ায় ও টি টি প্লাটফর্ম ই ভবিষ্যৎ।

You Might Also Like

Our Newsletter

স্কিল নিউজ