ব্রেকিং নিউজ

img/news-single-img/post-img-01.jpg


স্কিল বেঙ্গল ডেস্কঃ  আজ আমরা এমন একটি কোর্সের খুঁটিনাটি নিয়ে আলোচনা করবো যে কোর্স করে অন্তত চাকরির  জন্য ভাবতে হবে না। চাইলে আপনি বাড়িতে থেকে কাজ করেই মোটা টাকা রোজগারের সুযোগ পাবেন। এমনকি কোর্স শেষে নিজের ব্যবসা করার ও সুযোগ থাকবে। আর সবথেকে বড় কথা এই কোর্স করার জন্য খুব বেশি মেধা থাকার ও প্রয়োজন নেই। সাধারণ মানের স্টুডেন্ট হলেই এই কোর্স অনায়াসে করা যায়। 


ঘুম থেকে উঠা থেকে শুরু করে আবার ঘুমাতে যাওয়া পর্যন্ত আমরা প্রত্যেকেই কিছু না কিছুতে এনগেজ থাকি। সকালে ঘুম থেকে উঠে পেপার পড়া, অনলাইন পড়াশোনা, মোবাইলে গেম খেলা, টিভি তে কার্টুন দেখা, সোশ্যাল মিডিয়া তে কোনও ভিডিও ক্লিপ দেখা, ইউ টিউবে গান বা মুভি দেখা, এমনকি অনলাইনে জিনিস কেনাকাটা করার সময় আমরা জিনিসের যে ছবি দেখি তাঁর প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে  মাল্টিমিডিয়া ও অ্যানিমেশন এর পেশাদারিত্ব রয়েছে।

অর্থাৎ বলা যেতে পারে মাল্টিমিডিয়া ও অ্যানিমেশন দুনিয়ায় কাজের পরিধি অনেক বেশি। কাজের পরিধি বেশি থাকলে কাজ পাওয়ার সুযোগ ও অনেক বেশি থাকে। আর মাল্টিমিডিয়া ও অ্যানিমেশন কোর্স করে শুরুতে যে পরিমাণ বেতন পাওয়া যায় এবং কয়েক বছরের অভিজ্ঞতা থাকলে যা বেতন মেলে তাতে একজন মধ্যবিত্ত ফ্যামিলির আর্থিক স্বাচ্ছন্দ্য যে নিশ্চিত তা বেশ জোর দিয়েই বলা যায়।

সমীক্ষা অনুযায়ী  কোর্স শেষ করার আগেই চাকরি


ভারতসহ সারা বিশ্বজুড়ে অ্যানিমেটর এর চাহিদা এতটাই বেশি যে চাহিদার তুলনায় যোগান অত্যন্ত কম। দেখা গেছে অনেকেই কোর্স শেষ করার আগেই চাকরি পেয়ে যাচ্ছে। সমীক্ষা অনুযায়ী,  2023 সালের মধ্যে ভারতে অ্যানিমেশন ইন্ডাস্ট্রি গ্রোথ রেট 35 শতাংশ বৃদ্ধি পাবে। যার আনুমানিক মূল্য কয়েক হাজার কোটি টাকা। 

আপনার জন্য এই কোর্স কি আদৌ উপযুক্ত


যেকোনো জব অরিয়েন্টেড প্রফেশনাল কোর্স করার আগে প্রথমেই যেটা জেনে নেওয়া দরকার তা হল যে জিনিসটা শিখতে যাচ্ছেন সেটার প্রতি আপনার ভালোলাগা বা ভালোবাসা আছে কিনা? মাল্টিমিডিয়া ও অ্যানিমেশন কোর্স এর ক্ষেত্রে ক্রিয়েটিভি টি থাকা খুব দরকার। পাশাপাশি ছবি আঁকা, কার্টুন দেখা , অনলাইনে গেম খেলা বা আপনি যদি অ্যানিমেশন ফিল্ম দেখতে ভালোবাসেন অথবা ক্রিয়েটিভ জিনিস পছন্দ করেন তাহলে নির্দ্বিধায় বলা যায় এই কোর্সটি আপনার জন্য।

কোন যোগ্যতায় এই কোর্স এ ভর্তির সুযোগ মেলে


চলুন তাহলে দেখে নেওয়া যাক মাল্টিমিডিয়া ও অ্যানিমেশনের কোর্স এ ভর্তি হতে গেলে আপনার কেমন যোগ্যতা থাকতে হবে। আর প্রতিষ্ঠানগুলোতে কি কি ধরনের কোর্স রয়েছে ? 
মূলত এই কোর্স কে তিনটি ভাগে ভাগ করা যায়।
১. সার্টিফিকেট কোর্স
২. ডিপ্লোমা কোর্স
৩. ডিগ্রী কোর্স। 
ছেলে মেয়ে উভয়েই এই কোর্সটি করতে পারে। মাধ্যমিক পাশ করলেই সার্টিফিকেট কোর্স এ ভর্তির সুযোগ মেলে। আর উচ্চমাধ্যমিক পাশ হলে ডিপ্লোমা বা ডিগ্রি কোর্সে ভর্তি হতে পারবেন। আপনি চাইলে কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে পড়তে এই ধরনের কোর্সে ভর্তি হতে পারেন। এতে করে কলেজের ডিগ্রির পাশাপাশি জব ওরিয়েন্টেড কোর্স ও করে নিতে পারলেন।

এই কোর্সে যে সমস্ত বিষয় শেখানো হয়


এই কোর্সে মুলত শেখানো হয়  এই সমস্ত জিনিস-  ক্যারেক্টার ডিজাইন, মডেলিং, লাইটিং যেকোনো জিনিসের রং করা, ভিজুয়ালাইজেশন,ব্যাকগ্রাউন্ড,সাউন্ড ভিডিও এডিটিং, নিজের কোন বিষয়কে চলন্ত ও জীবন্ত করার পদ্ধতি,2 D ও 3 D অ্যানিমেশন ইত্যাদি। তবে কি শেখানো হবে তা নির্ভর করবে প্রতিষ্ঠান অনুযায়ী । কারণ কোর্সের রকমফের অনুযায়ী কোর্সের সিলেবাস হয়।

কোথায় শিখবেন

 
সরকারি বা বেসরকারি – ২ টি ক্ষেত্রেই এই কোর্স করার সুযোগ রয়েছে। প্রতিস্থানভেদে কোর্সের মেয়াদ, কোর্সের বিভিন্ন ভাগ রয়েছে। কোর্স ফিও প্রতিস্থানভেদে  আলাদা হয়। তবে ভর্তি হবার আগে ইনস্টিটিউট এর  ইনফ্রাসস্ত্রাকচার সম্পর্কে সমস্ত টা জেনে তবেই ভর্তি হওয়া উচিত। 

এবার জেনে নিন কয়েকটি পরিচিত প্রতিষ্ঠানের নাম
1)    Moulana Abul Kalam Azad University of Technology ( under different colleges)
2)    Youth Computer Training Centre
3)    Sister Nivedita University
4)    Brainware University
5)    Netaji Subhas Open University (under different institutes)
6)    Webel animation academy
7)    Nielit
8)    George Telegraph
9)    Hi Tech Animation
10)  RTG Animate
11)  I magic
12)  Arena Animation
13)   Maac
14)   Lalani computer Academy
15)   Zee Institute of Media Arts
আপনাদের সুবিধের জন্য কয়েকটি পরিচিত প্রতিষ্ঠানের নাম এখানে বলা হল। এই সব ইনস্টিটিউট ছাড়াও আরও অনেক ইনস্টিটিউট আছে। আপনি আপনার সুবিধে মত যে কোনও ইনস্টিটিউটে ভর্তি হতে পারেন।

কোর্স শেষে চাকরির সুযোগ কেমন  আর বেতন কত


কোর্স তো শিখলেন, এবার জানা দরকার কোথায় চাকরি পাওয়া যায় এবং শুরুতে মাইনে কেমন কি মেলে। এই কোর্স শেষে এডুকেশন সেক্টর, মিডিয়া  এন্ড এন্টারটেইনমেন্ট ইন্ডাস্ট্রি, , অ্যাডভার্টাইজিং এজেন্সি, স্টুডিও , গেমিং ইন্ডাস্ট্রি ,ই কমার্স, ডিজিটাল মিডিয়া , প্রিন্টিং অ্যান্ড প্রেস এ কাজ মেলে। অ্যানিমেটর , গ্রাফিক্স ডিজাইনার, ভিডিও এডিটর বা আর্টিস্ট পোস্টে চাকরি পাওয়া যায়। শুরুতে মাসে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা বেতন হলেও কয়েক বছর এর অভিজ্ঞতা হয়ে গেলে ৫০ বা ৬০ হাজার টাকা পর্যন্ত ও বেতন পেতে পারেন। 
চাকরির পাশাপাশি চাইলে আপনি নিজেই স্টুডিও তৈরি করে ব্যবসা শুরু করতে পারেন। অথবা ফ্রিল্যান্সিং কাজ ও করতে পারেন। এতো গেল বেসরকারি চাকরি বা ব্যবসার কথা। ডিগ্রি বা ডিপ্লোমা থাকলে সরকারি চাকরির সুযোগ ও আছে। 
তাই আর দেরি কিসের ? আজ ই কোর্স এ ভর্তি হওয়ার ব্যপারে খোঁজ খবর শুরু করে দিন। 

You Might Also Like

Our Newsletter

স্কিল নিউজ