ব্রেকিং নিউজ

img/news-single-img/post-img-01.jpg

পৃথিবীতে জীবন যাপন হয়ে উঠছে ক্রমশ কঠিন। বিলাসী জীবন যাপন তো দূর, ন্যূনতম স্বাচ্ছন্দের ব্যবস্থা করতেই হিমসিম খেতে হচ্ছে মধ্যবিত্ত, নিম্ন মধ্যবিত্ত বা একেবারেই নিম্নবিত্তদের। আয় তো বাড়ছেই না বরং দিনে দিনে আয় করাই কঠিন হয়ে যাচ্ছে৷ বিশ্বজোড়া আর্থিক মন্দার জেরে এখনও বাজারে কর্মসংস্থান কম। বেতনের হারও কম। উল্টোদিকে রোজ বাড়ছে জিনিসের দাম। অগ্নিমূল্য সবজি ও খাদ্যদ্রব্যের বাজার। অন্য সব দিকেই খরচ বাড়ছে তো বাড়ছেই। সকলেই হিসেব করছেন কিভাবে চলবে সংসার। লকডাউনের পরে তো আরও ক্ষতি হয়েছে অর্থনীতিতে। মানুষের কষ্ট বেড়েছে আরও। বাজারের অবস্থাও ভয়াবহ। এই সময়ে তাহলে কিভাবে চলবে দিন, ভবিষ্যতেই জন্যেই বা কি রাখা থাকবে।

আয়ের পরিমাণ না বাড়লেও কি কোনোভাবে সম্পদে বৃদ্ধি করা যায় না? যায়। চাই, খোঁজখবর রাখা, বিচক্ষণতা আর পরিকল্পনা।

 

যা আয় হবে তার সবই খরচ না করে বরং সেই টাকাকেই কাজে লাগান ভবিষ্যতের সমৃদ্ধির স্বার্থে। স্থায়ী রিটার্ন বা ঝুঁকিহীন বিনিয়োগ যারা চান, তাঁদের জন্য পোস্ট অফিসের এম আই এস স্কিম আদর্শ। পোস্টঅফিসের এই মান্থলি ইনকাম স্কিমে একটি নির্দিষ্ট আয় সম্ভব। মাসিক মাত্র ১০০ টাকায় পোস্ট অফিসে এই প্রকল্প করা যায়। ১০০ টাকার নীচে ডাকঘরে এমআইএস স্কিম খোলা যায় না।

অন্যদিকে এই এমআইএসের ম্যাচিওরিটি পিরিয়ড হল ৫ বছর। সবচেয়ে বড় সুবিধা হল, আপনি একটি পোস্ট অফিসে যতখুশি এমআইএস স্কিম করতে পারেন। এছাড়া অ্যাকাউন্ট খোলার পর অ্যাকাউন্ট হোল্ডার চাইলে তাঁর আত্মীয় বা বাড়ির কাউকে নমিনিও রাখতে পারেন। জয়েন্ট অ্যাকাউন্টের ক্ষেত্রে দুই বা তিনজনও চাইলে একসঙ্গে জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন।

যদি কোন বিনিয়োগকারী এই স্কিমে নিজের স্বামী বা স্ত্রীর সঙ্গে জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট খোলেন, তাহলে মাসের এই রোজগার দ্বিগুণ হয়ে যাবে। এই এমআইএস তাদের জন্য আদর্শ যাঁরা, কোনও ঝুঁকি ছাড়াই বিনিয়োগ করতে চান। সিনিয়র সিটিজেন বা বয়স্কদের জন্য এই প্রকল্প ভালো, তবে শুধু বয়স্কদের জন্যই এই প্রকল্প সীমাবদ্ধ নেই। এক দফায় বিনিয়োগের জন্যও এমআইএস স্কিম লাভজনক বলে বিবেচিত হয়।

এই প্রকল্পে কোনও বিনিয়োগকারী ৪.৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ করতে পারেন। কিন্তু স্ত্রী বা স্বামীর সঙ্গে জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট খুলে বিনিয়োগ করলে বিনিয়োগের পরিমাণ দ্বিগুণ হয়ে যেতে পারে। বর্তমানে এমআইএসের সুদের হার ৬.৬ শতাংশ।

ফলে যদি ৪.৫ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করা হয়, রিটার্ণে সর্বাধিক ২৯,৭০০ টাকা অতিরিক্ত পাবেন বিনিয়োগকারী। সেক্ষেত্রে জয়েন্ট অ্যাকাউন্টে সেই রিটার্ণ দাঁড়াবে দ্বিগুণ অর্থাৎ ৫৯,৪০০ টাকা। একে ১২ মাসে ভাগ করলে দাঁড়াচ্ছে ৪৯৫০ টাকা। ফলে প্রতি মাসে প্রায় ৫ হাজার টাকা অতিরিক্ত আসবে হাতে।

আর যারা একটু ঝুঁকি নিতে পছন্দ করেন তাদের জন্য আছে মিউচ্যুয়াল ফান্ড আর শেয়ার মার্কেট। এই দুটিতেই লোকসানের কিছু ঝুঁকি থাকলেও সম্ভাব্য লাভের হারও বেশ চড়া। এর জন্য চাই লেগে থাকার মানসিকতা, সাহস আর বাজার সম্পর্কে ডিটেইল খোঁজ রাখা৷

এছাড়া রয়েছে বিভিন্ন ধরণের জীবনবিমা। সরকারির পাশাপাশি এলআইসির মত বিশ্বস্ত সংস্থায় টাকা লগ্নি করে ঘরে বেশ কিছু পরিমাণ লাভ আনা যায়৷ ঝুঁকিপূর্ণ পথের মত এই ক্ষেত্রে লাভের অঙ্ক হয়ত অতটাও চড়া নয় কিন্তু লোকসানের সম্ভাবনা প্রায় নেই বললেই চলে।

এছাড়াও সঞ্চয়ের মূল শর্ত হল, খরচ কমিয়ে সঞ্চয় বাড়ানো। এই ক্ষেত্রে ভালো উপদেশ হল, বেতন পেতেই তার নির্দিষ্ট অংশ সঞ্চয়ে জমা করে বাকিটুকু দিয়ে সংসারের খরচ চালানো

এছাড়াও রয়েছে রেকারিং, পিপিএফ এর মত ব্যবস্থা যারা নিঃশব্দে বাড়িয়ে যাবে আপনার সম্পদের পরিমাণ। এইসব উপায় অবলম্বন করলেই আয় না বাড়িয়েও আপনি ধীরে ধীরে বাড়াতে পারবেন আপনার সম্পদের পরিমান।

You Might Also Like

Our Newsletter

স্কিল নিউজ