ব্রেকিং নিউজ

img/news-single-img/post-img-01.jpg

সারা বিশ্ব জুড়ে কোভিড আমাদের দেখিয়ে দিয়ে গিয়েছে যে প্রকৃতির উপর ক্রমাগত অত্যাচার চালালে প্রকৃতি তার বদলা নেয়। গ্লোবাল ওয়ার্মিং এর এই যুগে পরিবেশকে বাঁচানোই আমাদের কাছে এক বিরাট চ্যালেঞ্জ। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, নগরসভ্যতার কুফল হিসেবে ক্রমাগত বাড়তে থাকা পরিবেশ দুষন পৃথিবীকে খাদের কিনারায় এনে দাঁড় করিয়েছে। ওদিকে দুই মেরুতে বরফ গলছে অন্যদিকে প্রতি বছর বৃদ্ধি পাচ্ছে গড় উষ্ণতা। এই অবস্থায় বারবার প্লাস্টিক ব্যবহার কমিয়ে আনার পরামর্শ দিচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। তারা বলছেন, প্লাস্টিক ব্যবহার ও প্রকৃতিতে মিশে যেতে অক্ষম প্লাস্টিক বর্জ্য সাংঘাতিক ক্ষতি করছে পৃথিবীর ভারসাম্যের। দীর্ঘদিন ধরেই একটি নির্দিষ্ট মাইক্রনের নীচের প্লাস্টিক ব্যবহারে অনুমতি দেওয়া হয় না। বর্তমানে সরকার পুরোপুরিভাবে প্লাস্টিক বর্জন করার কথাই ভাবনাচিন্তা করছে৷ একবার প্লাস্টিক বাতিলের ঘোষনা করে তার থেকে সরে এলেও সরকার সমস্ত ইন্ডাস্ট্রি ও সাধারণ মানুষের কাছে প্লাস্টিকের ব্যবহার কমানোর আবেদন করেছে।


কিন্তু সমস্যা হল, আমাদের দীর্ঘদিনেরসাথী এই প্লাস্টিক বা পলিথিনের ব্যাগ ব্যবহার বন্ধ করতে হলে সবার আগে তার বিকল্প তৈরি করতে হবে। তবেই, মানুষ প্লাস্টিকের ব্যবহার কমাবেন।

আর এই সুযোগেই উঠে আসছে পাটের ব্যাগ বানানো এবং ব্যবহারের চল। পাট যথেষ্ট পরিবেশ বান্ধব। পাটের সূক্ষ সেলুলোজকে প্রক্রিয়াজাত করে তৈরি করা এই ব্যাগ সহজেই মাটির সাথে মিশে যায়। কোনোরকম পরিবেশ দূষনের সম্ভাবনা নেই। পাটের তৈরি এইসব ব্যাগের বহুল ব্যবহার ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। জুট শিল্প ক্রমশ অগ্রনী হচ্ছে। এই সমস্ত ব্যাগ যথেষ্ট টেকসই ও প্লাস্টিকের চেয়ে নান্দনিকতাতেও এগিয়ে।

 

কিন্তু পাটের ব্যাগ বানিয়ে কিভাবে লাভের মুখ দেখবেন? এই শিল্পে সম্ভাবনাই বা কতটা?

সম্ভাবনার নিরিখে এই পাট বা জুটের ব্যাগকে সবচেয়ে এগিয়ে রাখছেন বিশেষজ্ঞরা৷ এমনকি একে গোল্ডেন পলিথিন বলা শুরু হয়ে গিয়েছে। ক্রমাগত গবেষণা চলছে কিভাবে আরও নানাভাবে এই পাট এবং পাটজাত তন্তুকে ব্যবহার করা যায়৷ ব্যবসার দিক থেকেও এর ভবিষ্যৎ খুবই উজ্জ্বল।

প্রাথমিকভাবে উৎপাদন খরচ কিছুটা বেশি হলেও ধীরে ধীরে এই খরচের পরিমাণ কমে লাভের অঙ্ক বাড়তে থাকবে এই ব্যবসায়৷ আপনি যদি কম পুঁজি নিয়ে কম ঝুঁকিপূর্ণ কোনো ব্যবসা শুরু করার কথা ভাবেন তাহলে এটি আপনার জন্য যথাযথ। সরকার এখন এই শিল্পে উৎসাহ দিতে চাইছে তাই অনেক সুবিধাও আপনি পেয়ে যাবেন।

বস্ত্রশিল্পের সরকারি ওয়েবসাইট অনুযায়ী আড়াই লক্ষ টাকা মূলধন নিয়ে আপনি প্রাথমিকভাবে এই শিল্প শুরু করতে পারেন। ৫টি যন্ত্র ব্যবহার করে আপনি বছরে ১০ হাজার করে বাজারের ব্যাগ ও মেয়েদের ব্যাগ, ৮ হাজার স্কুল ব্যাগ ও ৬ হাজার ফোল্ডার ব্যাগ বানাতে পারেন। এই আড়াই লাখ টাকার মূলধনের মাত্র ২৫ শতাংশ আপনার নিজেকে জোগাড় করতে হবে। বাকি ৭৫ শতাংশের মধ্যে ৫৫% সুদমুক্ত ও ২০% সুদযুক্তলোনআপনাক্র সরকারই দেবে এনসিএফডি'র মাধ্যমে। এবং এর মাধ্যমে আপনি আনুমানিক ৪.৩০ লক্ষ টাকা বছরে অপারেটিং লাভ করতে পারবেন। অর্থাৎ মাসে প্রায় ৩৬ হাজার টাকা।

প্রতিবছর এই ব্যবসায় কস্টিং এর হার কমবে আর বাড়বে লাভের হার৷ তাই বোঝাই যাচ্ছে, সরকারি উৎসাহে এই ব্যবসায় সফল হওয়ার এটাই এখন সময়। কোনো শিল্প কতটা সফল হবে তা নির্ভর করে বাজারে চাহিদা ও ভবিষ্যতের উপর। পাট শিল্পে এই দুইই উর্দ্ধমুখী। তাই আপনি নতুন ব্যবসা শুরু করতে চাইলে এই সোনালী তন্তুতে বিনিয়োগ করতেই পারেন।

You Might Also Like

Our Newsletter

স্কিল নিউজ