ফাটা গোড়ালি ? নিমেষে দূর করবে এই টোটকা
আমাদের প্রতিদিনের জীবনে এমন কিছু সমস্যা কখনও কখনও দেখা দেয় যেগুলি নিয়ে খুব বেশি আলোচনা না হলেও সেগুলি আমাদের খুবই বিড়ম্বনায় ফেলে। মানুষের শরীরেও এমন কিছু সমস্যা হয়। হয়ত বড় কোন রোগ নয় কিন্তু যন্ত্রনা হয় তীব্র। পায়ের গোড়ালি ফেটে যাওয়া তেমনই এক সমস্যা। প্রচুর মানুষ এই সমস্যায় ভোগেন। কখনও কখনও যন্ত্রনার পরিমাণ সহ্যসীমা পেরিয়ে যায়। পায়ের গোড়ালি ফেটে তীব্র যন্ত্রনার ভয়ে আশঙ্কিত থাকেন তারা।
জ্বলীয় বাষ্পের পরিমাণ কমে গেলে প্রকৃতির সাথে সাথে মানুষের শরীরেও শুষ্কতা বৃদ্ধি পায়। তার প্রভাব পড়ে ত্বকে। পায়ের গোড়ালির তলার ত্বক সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়৷ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে তীব্র রক্তপাত এবং ত্বকের জটিল রোগের সম্ভাবনাও তৈরি হয়। আমরা আজ এই সমস্যার কিছু প্রতিকার নিয়ে আলোচনা করব যার জন্য আপনাকে ডাক্তারের কাছেও যেতে হবে না, প্রয়োজন হবে না খুব দামী কোনো ওষুধের। ঘরের নানা জিনিস দিয়েই তৈরি করা যায় এমন কিছু টোটকা যা নিমেষে সারিয়ে দেবে আপনার যন্ত্রনা, ভালো থাকবে গোড়ালির তলার চামড়া। আসুন দেখে নিই কি এমন সেই টোটকা?
ফাটা গোড়ালি ? নিমেষে দূর করবে এই টোটকা
-
নারকেল তেল
- এই ব্যাপারে সবচেয়ে কার্যকরী হল নারকেল তেল। সকলের ঘরেই প্রায় এই তেল থাকে। এই তেলেই হতে পারে আপনার যন্ত্রনামুক্তি। প্রথমে গরম জলে অনেকক্ষন পা চুবিয়ে রেখে তারপর ক্ষতস্থানে ভালো করে নারকেল তেল মালিশ করুন। অনেকখানি উপসম হবে। পা ফেটে রক্ত বেরিয়ে গেলেও নারকেল তেল মালিশ করলে তা কমে যায়।
-
মধু
- বাড়িতে আরেকটি ব্যবহার্য জিনিস হল মধু। সবার ঘরেই তা থাকে। সারা বছর ত্বকে মধ্য ব্যবহার করলে এই সমস্যা একেবারেই উধাও হয়ে যায়। উষ্ণ গরম জলে ভালো করে পা ধুয়ে তারপর মধু দিয়ে হালকা হালকা স্ক্রাবিং করে নিলে গোড়ালি ফাটার সম্ভাবনা থেকে চিরতরে মুক্তি পেতে পারেন।
-
অ্যালোভেরা জেল
- সকলের বাড়িতে না হলেও অনেকের বাড়িতেই অ্যালোভেরা গাছ আছে। বাজারেও অত্যন্ত সহজে এর জেল পাওয়া যায়। রুক্ষ ত্বক আর ফাটা গোড়ালির বিরুদ্ধে এই জেল হয়ে উঠতে পারে আপনার অন্যতম অস্ত্র। এতে থাকা অ্যামিনো অ্যাসিড ফাটা গোড়ালিতে আবার নতুন করে কোষ তৈরিতে সাহায্য করে যার ফলে ক্ষতস্থান দ্রুত মেরামত হয়।
এছাড়াও আরও কিছু পদ্ধতি আপনারা অনুসরণ করতে পারেন। যেমন -
- জলে ভিনেগার মিলিয়ে তার ভেতর পা ভিজিয়ে রাখুন সারা বছর।
- গোড়ালির তলার ত্বক নমনীয় রাখতে ব্যবহার করুন অলিভ অয়েল।
- ময়েশ্চারাইজারের কাজ করবে শিয়া বাটার। যাতে ত্বকে আর্দ্রতার অভাব না হয়।
- একই ভাবে কাজে দেবে চটকানো কলাও। পাকা কলা মসৃন না হয়ে যাওয়া অবধি ডলে তা মেখে রাখুন পায়ের তলায়
- ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখবে বেকিং সোডা।
- ওটস-তেলের মিশ্রণ রক্ষা করবে ত্বকের স্বাস্থ্য। এছাড়াও কাজে দিতে পারে গোলাপ জল।
- এছাড়াও লেবু, তেল হলুদ ইত্যাদির পেস্ট যদি নিয়মিত পায়ের তলায় মাখা যায় তাতেও উপকার পাওয়া যায়।
এই সবকিছুর সাথে সাথে বহুদিন ধরে যে রীতি চলে আসছে তা হল বোরোলিন বা ভেসলিন গরম করে ফেটে যাওয়া গোড়ালির ক্ষতস্থানে মালিশ করা। এতে অনেক ক্ষেত্রেই ম্যাজিকের মত কাজ হয়৷
ফাটা গোড়ালির যন্ত্রনার ভয়ে কুঞ্চিত হয়ে থাকার আর প্রয়োজন নেই। এইসব ঘরোয়া টোটকা কাজে লাগিয়েই আপনি পারেন দীর্ঘদিনের এই সমস্যা থেকে মুক্ত হতে।