ব্রেকিং নিউজ

img/news-single-img/post-img-01.jpg

কোভিডের জন্য দীর্ঘদিন ধরে যে লকডাউন চলে আসছে, তাতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে মানুষের রুজি-রোজগার। অনেক মানুষ কাজ হারিয়েছেন, অনেকের ব্যবসায় ক্ষতি হয়েছে,  অনেকে আবার নতুন করে ব্যবসা শুরু করবেন ভেবে-ও, শুরু করতে পারছেন না। ভাবছেন এই মন্দার বাজারে ব্যবসা আদৌ চলবে কিনা।  তাই জেনে নিন যে কোন কোন ব্যবসা লকডাউনে-ও বন্ধ হয় না -----

 

১) ওষুধ দোকান

শরীর থাকলে অসুখ থাকবে, আর অসুখ থাকলে তার ওষুধ ও থাকবে। লকডাউন হোক বা না হোক সবাইকে শারীরিক ভাবে সুস্থ থাকতে হবেই। অসুস্থ শরীরকে সুস্থ করতে গেলে ওষুধের দরকার থাকবেই। আপনি পৃথিবীর যে প্রান্তেই থাকুন না কেন ওষুধ এর ব্যবসা আপনি করতেই পারেন। লকডাউন হলেও চিন্তা নেই কারন ওষুধের দোকান সবসময় লকডাউন এ খোলা রাখা হয়। তাই আপনার ব্যবসা বন্ধ রাখার ও কোনও চিন্তা থাকবে না। লকডাউনেও নিশ্চিন্তে রোজগার করতে পারবেন।

২) হোম ডেলিভারি

যারা হোম ডেলিভারির ব্যবসা করেন বা নতুন করে শুরু করবেন ভাবছেন তাদের  ক্ষেত্রেও কিন্তু লকডাউন বিশেষ ক্ষতি করতে পারবে না। বরং অনান্য সময় হোম ডেলিভারির যে চাহিদা থাকে, তা লকডাউনের সময় আরো-ও বেড়ে গেছে। যারা আগে হোম ডেলিভারি নিতেন না, এখন তাদের-ও নিজেদের প্রয়োজনীয় জিনিস হোম ডেলিভারির মাধ্যমে নিতে হচ্ছে। তাই এর চাহিদা দিন দিন বেড়েই যাচ্ছে।   রান্না করা খাবার, মশলাপাতি বা  সবজি বাজার - মানুষের এইসব নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের চাহিদা কখনো-ই শেষ হবে না। তাই লকডাউন থাক বা না থাক, হোম ডেলিভারির ব্যবসা চলবে রমরমিয়ে। 

৩) ইউটিউবার

বর্তমানে ইউটিউবে ভিডিও আপ লোড করে অনেকেই মোটা টাকা রোজগার করছেন ।এখনকার লকডাউন পরিস্থিতিতে মানুষ বেশীরভাগ সময়-ই সোশ্যাল মিডিয়ায় কাটাচ্ছেন।    আপনি  যে-কোনো বিষয় নিয়েই ভিডিও তৈরি করতে পারেন। আপনি হয়ত ভাবছেন এর জন্য তো ক্যামেরা লাগবে। কিন্তু না। আপনার মোবাইল ফোন দিয়েই দিব্বি ভিডিও তুলতে পারেন। আপনার করা রান্নার ভিডিও থেকে আপনার বাচ্চার নানানরকম এক্টিভিটি,   অথবা ইন্টিরিয়ার ডেকরেটিং থেকে বিভিন্ন বিসনেস আইডিয়া, এমনকি আপনার নাচ, গান, কমেডি - যে-কোনো রকম ভিডিও করে-ই আপনি প্রচুর ভিউয়ার পেয়ে যাবেন এবং তা থেকে মোটা অঙ্কের রোজগার-ও করতে পারবেন। লকডাউনের মধ্যে ঘরে বসে আপনি সহজেই এভাবে রোজগার করতে পারেন। আর লকডাউন উঠে গেলে-ও আপনি অনায়াসেই তা চালিয়ে যেতে পারবেন।

 

৪) ডিজিটাল মার্কেটিং এজেন্সি

আপনি যাই ব্যবসা করুন না কেন ক্রেতার কাছে পৌঁছাতে গেলে আপনাকে মার্কেটিং করতেই হবে। সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে এখন আগের থেকে অনেক বেশি ক্রেতার কাছে পৌঁছানও যাচ্ছে। অর্থাৎ এখন ডিজিটাল মার্কেটিং এর যুগ। প্রায় সব ব্যবসাই এখন অনলাইনে চলে এসেছে। আপনি যদি নিজে ডিজিটাল মার্কেটিং করেন বা ডিজিটাল মার্কেটিং এজেন্সি তৈরি করেন তাহলে বাড়িতে বসেই আপনি এই কাজ করতে পারবেন। লকডাউন হলেও এই ব্যবসা চালাতে আপনার কোনও সমস্যা হবে না।

৫) অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং

এখন খুব সহজেই বাড়িতে থেকেই নিজের হাতের স্মার্টফোন বা কম্পিউটারের সাহায্যে রোজগার করতে পারবেন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে।অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং -এ আপনাকে এক বা তার বেশি কোম্পানির প্রোডাক্টকে প্রমোট করতে হবে সোশ্যাল মিডিয়ায় মাধ্যমে। সংশ্লিষ্ট  কোম্পানি আপনাকে অনলাইন এ একটা লিংক তৈরী করে দেবে  এবং আপনাকে সেই লিংক টিকে আপনার বিভিন্ন সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং পেজে শেয়ার করতে হবে এবং কোনো ব্যক্তি যদি আপনার ওই লিংক এ ক্লিক করে ওই কোম্পানির কোনো প্রোডাক্ট কেনেন তখন আপনি নির্দিষ্ট কমিশন পাবেন। এতে করে আপনি লকডাউনে বাড়িতে-ও থাকতে পারলেন আর আপনার হাতের স্মার্টফোনটিকে কাজে লাগিয়ে রোজগার-ও করতে পারলেন।

৬) ভিডিও এডিটিং

ফেসবুক, ইউ টিউব খুললে লক্ষ লক্ষ ভিডিও দেখতে পাওয়া যায়। কিন্তু জানেন কি এই ভিডিও আপনি নিজেও বাড়িতে বসেই তৈরি করতে পারেন। আর সেখান থেকে মোটা টাকা রোজগার করা যায়। এমনকি আপনি ভারতে বসে আমেরিকার কোনও কোম্পানির ভিডিও তৈরি করতে পারবেন। সারা বছর ই কাজ পাওয়া যায়। সত্যি কথা বলতে কেউ যদি ভিডিও এডিটিং সারাদিন ধরেও করে তার কাজ শেষ করতে পারবে না। অর্থাৎ মার্কেটে কাজ আছে  প্রচুর। এই কাজের সবথেকে বড় সুবিধে আপনি বাড়িতে বসেই এই কাজ করতে পারবেন। চাইলে একসঙ্গে অনেক কোম্পানির কাজ নিয়ে অন্যদের দিয়ে করিয়ে নিতে পারেন। সেখান থেকেও ভালো রোজগার হবে। লকডাউন হলেও আপনার কোনও সমস্যা হবে না।

৭)  অনলাইন বুটিক এবং বিউটি প্রোডাক্ট

নিজেকে সুন্দর দেখাতে কে-না চায়। সে ছেলে হোক বা মেয়ে। কিন্তু নিজেকে সুন্দর দেখানোর জন্য তো কিছু সামগ্রী দরকার পড়ে,  যার চাহিদা লকডাউনে-ও থাকবে, এবং লকডাউনের পরে-ও থাকবে। তাই যাদের নিজস্ব বুটিক বা জুয়েলারি তৈরির ব্যবসা রয়েছে, বা যারা অন্য কারোর কারোর থেকে তুলে রিসেলিং করতে চাইছেন, তারা সহজেই  একটি পেজ তৈরি করে নিজেদের প্রোডাক্ট কাস্টমারদের দেখাতে ও বিক্রি করতে পারেন। সেইসঙ্গে Whats app এ বুকিং নিয়ে কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে তা একেবারে ক্রেতার দরজার সামনে পৌঁছে দিতে পারেন। তাই এই ব্যবসা-ও লকডাউনের বাজারে বন্ধ হওয়ার নয়, কারন আপনি বাড়িতে থেকেই এই ব্যবসা করতে পারবেন।

৮) ব্লগিং বা কনটেন্ট রাইটিং

আপনি যদি ভালো লিখতে জানেন তাহলে সেখান থেকেই আপনার রোজগারের সুযোগ রয়েছে। স্মার্টফোন অথবা কম্পিউটার থেকে ইন্টারনেটের সাহায্যে আপনি এই ব্যবসা শুরু করতে পারবেন। কাজের অভাব নেই। লক্ষ লক্ষ ওয়েবসাইট রয়েছে। সেখানে লেখার সুযোগ ও রয়েছে।  কেবল আপনাকে ভালো লিখতে জানতে হবে। আপনি চাইলে ব্লগিং বা কনটেন্ট রাইটিং  এর এজেন্সি খুলতে পারেন। অন্যদের দিয়ে লিখিয়ে নিতে পারেন। সেখান থেকেও মোটা টাকা রোজগারের সুযোগ রয়েছে।

 

৯) ফিটনেস ট্রেনার

কথায় আছে স্বাস্থ্যই সম্পদ। নিয়মিত যোগ ব্যয়াম, মেডিটেশন বা জিম করে শরীরকে অনেকটাই সুস্থ রাখা যায়। তাই এখন পাড়ায় পাড়ায় জিম সেন্টার গড়ে উঠেছে। এমনকি স্কুল গুলিতেও জিম ট্রেনার নিয়োগ করা হচ্ছে। লকডাউন হলেও ট্রেনার রা অনলাইনে যোগা শেখাচ্ছেন। আপনি যদি ট্রেনার হন তাহলে লকডাউন হলেও আপনার রোজগারে ভাটা পড়বে না। বাড়িতে থেকেই অনলাইনে শেখাতে পারবেন। লকডাউন উঠে গেলে নিজের জিম সেন্টার তৈরি করা,  অফলাইন ক্লাস, বাড়িতে গিয়ে শেখানো বা কোনও জিম বা যোগা সেন্টারে ট্রেনার হিসেবেও কাজের সুযোগ তো থাকছেই।

১০) ডাটা এন্ট্রি

ডাটা এন্ট্রির কাজ যেহেতু বাড়িতে বসেই করা যায় তাই লকডাউন হলেও এই কাজের কোনও সমস্যা হয় না। কোম্পানি রা তাদের অফিসের ডাটা এন্ট্রির কাজ বিভিন্ন সংস্থা বা এজেন্সি কে দিয়ে করিয়ে নেয়। আপনি নিজেও এরকম এজেন্সি খুলে ডাটা এন্ট্রির কাজ নিতে পারেন। বাড়িতে কমপিউটার থাকলেই এই কাজ করা যায়। তাই লকডাউন হলেও এই ব্যবসা বন্ধ হওয়ার নয়।

 

 

You Might Also Like

Our Newsletter

স্কিল নিউজ